প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। মনে হচ্ছে এখন সময় এসেছে, কেউ চাইলে ম্যাক্রোইকনমির সূচকগুলিকে সে উপেক্ষা করতে পারে, অতীতে যেগুলির একটা প্রভাব শুধু দরগুলির উপরেই থাকত না, বরং সেগুলি প্রবণতাকে 180 ডিগ্রি ঘুরিয়েও দিতে পারত। বহু সপ্তাহ ধরেই এখন করোনা ভাইরাস আর্থিক বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, যে ভাইরাস এখন শুধু লোকেদের স্বাস্থ্যের উপরেই নয়, বরং বিভিন্ন সরকারগুলো এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর পদক্ষেপের উপরেও প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে।
First, a review of last week’s events:
EUR/USD. The situation in the financial markets is completely under the control of the coronavirus for many weeks in the run. And if many traders in 2019 complained about the lowest volatility of the EUR/USD pair in the history of its existence, the situation has changed dramatically in 2020. Yhe amplitude of its fluctuations exceeded 200 points last week alone, and the growth of the euro on Thursday 27 February was the fastest since May 2018. And all this due to the Covid-19 virus, which causes investors to avoid investing in risky assets, preferring quieter havens.
প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা
ইউরো মার্কিন ডলার। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ডলার ইনডেক্স ইতিমধ্যে অর্জন করেছে 2.5 শতাংশ, মে 2017-র পর সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ইউরো জমি হারাচ্ছে। 1 জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে, ডলারের অগ্রগতি ইউরোপিয়ান কারেন্সিকে দুর্বল করেছে 440 পয়েন্টে। শুধুমাত্র গত তিন সপ্তাহে টানা পতনে হারিয়েছে প্রায় 300 বা 2.7 শতাংশ।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা :
ইউরো/মার্কিন ডলার। টানা দুসপ্তাহের জন্য এই জোড়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ অবস্থানে স্টপ-লস অর্ডার দেখা গেছে। বুলস সরে গেছে, তাদের রক্ষণের সমস্ত লাইন থেকে সফলভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। এই জোড়া শুধু এটা এবং গত বছরের লো আপডেট করেনি, এইসঙ্গে এটি সর্বনিম্ন মূল্যে পৌঁছেছে মে 2017-র পর। আর সবচেয়ে কৌতূহলকর বিষয় হল যে ইউরোপিয়ান কারেন্সির এরকম বিপর্যয়ের গুরুততর কোনো কারণ নেই। আপনি ‘কালো বৃহস্পতিবার’-এর ওপর ইএসডি সিএইচএফ জোড়ার বিপর্যয় ব্যাখ্যা করতে পারেন যা ঘটেছিল জানুয়ারি 2015-তে অথবা গণভোটের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের নিষ্ক্রমণের প্রেক্ষিতে পাউন্ডের পতন ব্যাখ্যা করতে পারেন। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক কিছুই ঘটেনি।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যানগুলিকে (ISM এবং NFP সমেত) বেশ আশাব্যঞ্জক দেখাচ্ছে। গত পাঁচ দিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সূচকগুলি তাদের রেকর্ডের স্তরগুলিকে শুধরেছে: ডাউ জোন্স রয়েছে 29393-এ এবং S&P500 রয়েছে 3345-এ। জার্মানির উৎপাদন সংক্রান্ত অর্ডার গত পরপর তিন ধরে 0.5% পড়েছে, যা ইউরোপীয় অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে আশংকাকে নিশ্চিত করেছে, যা বর্তমানে মন্দার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। ফলস্বরূপ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউরোজোনের কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (QE) নীতিকে আরও প্রসারিত করার ব্যাপারে প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই আত্মবিশ্বাস বাড়ছে যে, ডলারের দাম অন্তত অপরিবর্তিত থেকে যাবে। সম্প্রতি এই বিষয়টি ফেডেরাল রিজার্ভের উপ-সভাপতি রান্ডাল কোয়ার্লার্স বলেছেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রত্যাশা তৈরি করেছেন, ভোটারদের বারংবার এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারির সংখ্যা বর্তমানে সর্বনিম্ন স্তর 3.5%-এ আছে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। গত সপ্তাহটা কোরোনা ভাইরাসের লক্ষণের মধ্যে দিয়ে কেটেছে, যা গত সপ্তাহে বাজারে যা যা ঘটেছিল তার বেশিরভাগকে নির্ধারিত করেছিল। যে সব ভোগ্যপণ্য ও মুদ্রাগুলির সরাসরি চীনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সেগুলির সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা হয়েছে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। ইউরো আবার পড়ছে, এবং গত পাঁচ দিনের মধ্যে ডলারের সাপেক্ষে এর 70 পয়েন্ট পতন ঘটেছে। এর দুটি কারণ আছে: চীনে কোরোনা ভাইরসজনিত মহামারী এবং নতুন ECB প্রধান অতি সাবধানী ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। 29শে নভেম্বর, 2019 থেকে শুরু করে, এই জুটি ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল বরাবার এগিয়ে যাচ্ছিল। 31শে ডিসেম্বরে এটি এই চ্যানেলের ঊর্ধ্ব সীমা 1.1240-এ পৌঁছে যায়, আর তারপর অভিমুখ বদলায় এবং 08ই জানুয়ারী তারিখে এটি এই চ্যানেলের নিচের সীমা 1.1225-কে ভেঙ্গে দেয়। "এটি কি তার সীমাগুলির মধ্যে ফিরবে?"– গত সপ্তাহে আমরা এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলাম, যার উত্তরে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ (60%) কঠিন "না"-এ জবাব দিয়েছিলেন। আরা তারা সঠিক প্রমাণিত হয়েছেন: 16ই জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার অবধি, বুল এটা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারপর তাদের শক্তি কমে আসে এবং এই জুটির খাঁড়া পতন ঘটে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা :
ইউরো/মার্কিন ডলার। যেমন আপনি জানেন, জীবন হল জেব্রার মতো : একটা সাদা দাগের পর একটা কালো স্ট্রাইপ আসে, এবং উলটোটাও সত্যি। সেটাই ঘটেছে এবারও : ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ারের ছুটির পর এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পূর্ণ-মাত্রায় যুদ্ধের উদ্বেগজনক প্রত্যাশা। কিন্তু কয়েকদিন পর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে দুপক্ষই পূর্ণ-মাত্রায় সংঘষ এড়াতে চায়, এবং ভূগোল-রাজনৈতিক ক্ষেত্রের টেনশন ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে, যা তেলের দামে পরিষ্কার দৃশ্যমান।
First, a review of last week’s events:
EUR/USD. Holidays are for people to get distracted for a while from daily problems, plunging into the magic atmosphere of miracle expectation. And miracles happen, and financial markets are no exception, as we have already warned our readers.
নতুন বছরে প্রধান প্রধান প্রচলিত মুদ্রা যুগল থেকে সম্ভাব্য প্রত্যাশা।
এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে মধ্যস্থতাকারী সংস্থাগুলি এবং ব্যক্তিগত বাণজ্যিক সংস্থাগুলির বিশাল সংখ্যক বিবেচনা করে ইইউআর/ইউএসডি যুগলকে তাদের কর্মধারার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে। অন্যান্য সূত্র থেকে বলা হয় ফোরেক্স মার্কেটের 22% থেকে 32% এই যুগল ধারণ করে।ইউএসডি/জেপিওয়াই, জিবিপি/ইউএসডি,ওইউডি/ইউএসডি,ইউএসডি/সিএইচএফ,ইউএসডি/সিএডি,ইইউআর/জেপিওয়াই এবং ইইউআর/জিবিপি দ্বারা অনুসৃত এটি হয়।
প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনার পর্যালোচনা :
ইউরো/মার্কিন ডলার। 1.1110 স্তর থেকে সোমবার শুরু করে জোড়াটি উঠেছিল, যেমন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞরা আশা করেছিলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট শুরুর ব্যাপারে বাজার প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, এবং এসঅ্যান্ডপি500 ইনডেক্স ফের একবার আপডেট হয়েছে ঐতিহাসিক সর্বাধিকে। যদিও, বছরের শেষ মানে বছরের শেষ এবং সংশ্লিষ্টরা ভয়াবহতায় পড়েছে। সুতরাং, জোড়াটি লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছিল, 1.1200-র উচ্চতা এবং সপ্তাহের সর্বাধিক রেকর্ড হয়েছে 1.1175।
প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনার পর্যালোচনা :
ইউরো/মার্কিন ডলার। যেমন প্রত্যাশিত, ফেড এবং ইসিবি উভয়ই তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। ফলত তাদের সিদ্ধান্তে বাজারের প্রতিক্রিয়া প্রায় শূন্য। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসিবি-র নতুন প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্ডে গত সপ্তাহে ছিলেন ডলারের দিকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর অনুসরণকারীদের বলেছেন, ‘আমরা (অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) চীনের সঙ্গে একটা বড় চুক্তি শেষ করার মুখে। ওরা এটা চায় যেমন আমরাও চাই! অর্থাৎ, যদি আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে থাকেন যে বাণিজ্য চুক্তি একমাত্র বেইজিং চেয়েছিল, এখন এটা দাঁড়িয়েছে যে এতে স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনও সম্মত।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। সোমবার ইউরো খাঁড়া উপরের দিকে ওঠে। কেউ সেটা প্রত্যাশা করেনি এমনটা বলছি না। বিশ্লেষকদের 35% এবং H4 ও D1-এর উপর গ্রাফিক্স সহযোগে করা বিশ্লেষণগুলো এই জুটির 1.1100-র উচ্চতায় ওঠার পূর্বাভাস ছিল। কেউ কেউ এটাও ধরে নিতে পারেন যে, এই বৃদ্ধির সঙ্গে ইউরোপিয়া সেন্ট্রাল ব্যাংকের নতুন কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডের কাজকর্মের যোগ রয়েছে। কিন্তু সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ উচ্চপদস্থ ওই আধিকারিকের কথার বেশিরভাগের সঙ্গে আর্থিক নীতির উন্নতির কোন যোগসূত্র ছিল না, বরং তাদের নিষ্ঠা ক্রিপ্টো-ইউরোর আগমনের সম্ভাবনার ব্যাপারেই বেশি কেন্দ্রিভূত ছিল। যদিও, মহা-নিয়ামকের কাজের যে তাজা হাওয়ার ঝাপটা ছিল তা ইউরোপের মুদ্রাকে শক্তিশালী করতেই পারত।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। মার্কিন মুলুকে থ্যাংকসগিভিং মনে হয় 28শে নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ছিল না, বরং তার অনেক 25 শে নভেম্বর সোমবারেই ছিল। শরতের শেষ সপ্তাহটা স্বাভাবিকভাবেই শান্ত ছিল এবং শুক্রবার পর্যন্ত, কারবারিদের শীতঘুমে পাঠিয়ে, অস্থিরতা 40 পয়েন্ট ছাড়ায়নি। GDP-র এবং US-তে উৎপাদনশিল্পের ইতিবাচক ডেটাকে ইউরোজোনে দর সূচক বা প্রাইস ইন্ডেক্স (CPI) ভারসাম্য প্রদান করে। আর এমনকি হংকংয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বারা সাক্ষরিত বিতর্কিত আইন, সেই সঙ্গে বেইজিংয়ের তরফে তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া, সব মিলিয়ে বাজারের উপর খুব কমই প্রভাব ফেলে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। মনে করে দেখুন আগের কয়েকটি পূর্বাভাসে যে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বলা হয়েছিল সম্প্রতি তাই-ই বাজারকে গ্রাস করে রয়েছে। সেই সময়, বুল-এর সমর্থকদের দল বিয়ারদের থেকে মাত্র 10% ভারি ছিল। 55% বিশেষজ্ঞ ইউরোপীয় মুদ্রার বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছিল, আর বিরুদ্ধে ছিল 45%। যেন তারা শক্তিগুলির ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছিল, এই জুটি 11ই নভেম্বর, সোমবার, সামান্য ওঠে, 1.0900-র স্তরে পৌঁছে একটি পার্শ্বমুখী প্রবণতার দিকে চলে যায়। সেটা শুক্রবার অবধি সেখানেই ছিল, যখন, ইউরোপ থেকে দুর্বল পরিসংখ্যাগুলি (PMI) নতুন ECB প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডের দেওয়া ভাষণের কারণ, এর খাঁড়া পতন ঘটে। তবে, এটি 1.1000-র অবলম্বন ভেঙ্গে বেরোতে পারেনি এবং পাঁচ দিনের পর্যায়কাল 1.1020-এ শেষ করে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। প্রেসিডেন্স ট্রাম্প দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন, আমেরিকার মজবুত GDP বৃদ্ধিকে তার জন্য ধন্যবাদ। প্রধান প্রধান US সূচকগুলি তাদের ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছানোর ঝড় তুলে চলেছে। S&P500-এর ফিউচার 3100-র উপরে উঠেছিল। বাজারে ক্রয়ের ব্যাপারে বিপুন উদ্দীপনা দেখার কারণ ছিল হোয়াইট হাউজ-এর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুদলো-র চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির আশু সিদ্ধান্ত সম্পর্কে করা মন্তব্য। একই সঙ্গে, ফাইনান্সিলা টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বস্তুত, চীন যে থমকে রয়েছে এবং শুল্ক তুলে দেবার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উল্লেখযোগ্য কোন ছাড়ের ঘোষণা করছে না সে ব্যাপারে হোয়াইট হাউজ বেশ অখুশি। আর ট্রাম্প নিজেও সেগুলিকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দিতে চায় এমনটিও নয়।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। 07ই নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, মার্কিন বাজারে ঐতিহাসিক উত্থান দেখা গেছে যখন বাণিজ্যিক চুক্তির নতুন অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তরফে শুল্ক কমানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করার প্রতিবেদন সামনে আসে। ফাটকা কারবারিরা বন্ড, ইয়েন এবং সোনার মতো নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলি থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ইউরোপের মুদ্রার ডলারের থেকে সস্তা হয়েছে: বিনিয়োগকারীরা আশা করছে মার্কিন-চীন বাণিজ্য-যুদ্ধ শেষ হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাক্রোইকোনমির সূচকে উন্নতি হবে। আর যদিও একটা পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় এখনও অনেক দেরি আছে, তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কোন আকস্মিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তা-ই হয়েছিল: 30শে অক্টোবর, বুধবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল রিজার্ভ ডলারের উপর সুদের হার 2.0% থেকে 1.75%-এ নামিয়ে আনে। স্বাভাবিকভাবেই, মার্কিন মুদ্রা পড়তে শুরু করে, এই জুটি ওঠে, কিন্তু গতি খুবই শান্ত ছিল: বাজার ফেডেলার রিজার্ভের এই সিদ্ধান্তে জন্য বহু দিন ধরেই অপেক্ষা করেছিল। ফলত, এই জুটি গত মার্চ মাসে শুরু হওয়া মধ্য-মেয়াদি অবলম্বন (সাপোর্ট)/প্রতিরোধ (রেজিস্ট্যান্স) রেখায় ফিরে গিয়ে কোনক্রমে 1.1175-র স্তরে পৌঁছাতে পেরেছিল।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। পাউন্ড যেহেতু একমাত্র মুদ্রা নয় যা Brexit ঘটনাবলীর উপর নির্ভরশীল, বরং তার সঙ্গে, শুরুতেই, ইউরো-ও রয়েছে, আমরা আপনাদের বলব UK-র EU থেকে বেরিয়ে যাবার এক সপ্তাহ আগে (অবশ্য যদি শেষ অবধি তা ঘটে) পরিস্থিতিগুলি ঠিক কেমন দেখাবে। আর পরিস্থিতিটা দেখাচ্ছে, ঠিক যেন... একটা দুষ্টচক্র।
এক দিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন EU থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তার তৈরি করা খসড়া প্রত্যাহার করতে চাইছেন না যতক্ষণ না পার্লামেন্ট 12ই ডিসেম্বর একটি নির্বাচনের জন্য সম্মতি দিচ্ছে। কিন্তু পার্লামেন্ট সে ব্যাপারে রাজি নয়, কারণ বিরোধীরা চান বরিস জনসন যেন Eu-এর সাথে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে আসার বিকল্পটিকে খারিজ করে দেন, সেই সঙ্গে EU-ও যেন বেরিয়ে আসার শর্তাবলীকে প্রসারিত করতে রাজি হয়। EU, তাদের তরফে, Brexit-কে কত দীর্ঘায়িত করা হবে তার সিদ্ধান্তে আসার আগে, পার্লামেন্টের 12ই ডিসেম্বর সময়ের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। নিঃসন্দেহেই, গত সপ্তাহের মূল বিষয় ছিল Brexit। নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রাসেলসের সাথে একটি সমঝোতায় উপণীত হতে সমর্থ হয়েছেন, এবং গত 17ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলন ব্রিটেনের EU থেকে বেরিয়ে যাবার শর্তাবলী উপর তৈরি একটি চুক্তিকে ও 01লা নভেম্বরকে তার তারিখ হিসেবে অনুমোদন করেছে। এই ঘটনাটি, সেই সঙ্গে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকায় রাজনৈতিক ও বাণিজ্যের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার ঘটনাও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল পরিসংখ্যানের দ্বারা “পরিপক্ক হয়ে”, ঊর্ধ্বগতির (বুল) জন্য রাস্তা খুলে দেয়।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। গত সপ্তাহটা দুটো ঘটনার দ্বারা চিহ্নিত হয়ে গেছে। প্রথমটা হল, US ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সমঝোতা পরবর্তী ধাপে পৌঁছানো, যার শুরুটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষায় “খুব খুব ভাল”। আর দ্বিতীয়টা হল, Brexit সমঝোতায় একটা সাফল্য আসা। UK-র নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রস্থানের আশা বাড়ায় পাউন্ডের দাম বাড়ে, ইউরোপীয় মুদ্রার থেকেও একটা উত্তরমুখী টান আসার পর। যাকে আরেকটু সহজ করে দেয় বৃহস্পতিবার, 10ই অক্টোবর তারিখে প্রকাশিত হওয়া ECB বৈঠকের কার্যবিবরণী, যাতে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ব্যাংক সহজকরণ নীতি (ইজিং পলিসি) শেষ করে দিতে চলেছে (QE)। ফলত, এই জুটি 1.1062-তে উঠে আসতে সক্ষম হয়
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ (55%) এই জুটির 1.1000-র জোন অবধি একটা সংশোধন দেখবেন বলে আশা করেছিলেন। এই পরিস্থিতিটিকে D1 এবং W1-এর উপর 15% অসিটেলর সমর্থন করে, এর মাত্রাতিরিক্ত বিক্রির স্পষ্ট সংকেত দিয়ে। এই পূর্বাভাসটি 100% ফলে যাবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যেহেতু 3রা সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার EUR-র রেট 1.0999 USD-র স্তরে উঠে গিয়েছিল। গ্রাফিক্স সহযোগে করা এই বিশ্লেষণও সত্যিই ছিল যে, 1.1000-এর স্তরে পৌঁছানোর আগে এই জুটিতে পতন দেখা যেতে পারে, যা এই জুটি দেখিয়েছিল সপ্তাহের একেবারে গোড়ার দিকেই।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। ট্রাম্পের জন্য যে বিষয়গুলি খুব খারাপ সেগুলিই আবার ডলারের জন্য বেশ ভাল। কোট চার্টের দিকে তাকালে এইরকমই সিদ্ধান্তে আসতে হয়। এখন, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন বা ইমপিচমেন্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, আর ডলারের সূচক ইতিমধ্যেই মোটামুটি 99.00 উচ্চতা ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউরো আরও 100 পয়েন্ট নেমে EUR/USD জুটির নিম্ন স্তরকে সংশোধিত করেছে এবং তা এপ্রিল 2017-র নিম্ন স্তরে এসে পৌঁছেছে এবং সপ্তাহটা 1.0940-এ শেষ করেছে
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। বিশ্লেষণগুলিতে এ ব্যাপারে বহু দিন ধরেই বলে আসা হচ্ছিল এবং তা-ই ঘটল: গত 18ই সেপ্টেম্বর, বুধবার, US ফেডেরাল রিজার্ভ তাদের মূল সূদের হার 0.25% থেকে 0.20%-এ নামিয়ে এনেছে। কিন্তু যেহেতু তারা এ ব্যাপারে অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছিল, তাই বাজারও বিষয়টির ব্যাপারে আগে থেকে নিজেদের প্রস্তুত করেই রেখেছিল, আর তাই “যুগান্তকারী” কোন লাফ বাজারে দেখা যায়নি। অপরদিকে, অনিশ্চয়তা কমেছে, এবং এই জুটি 1.1000-1.1075-এর অলিন্দের দেওয়াল ঘেঁষে চলতে শুরু করেছে, যে ব্যাপারে কারবারিরা ইতিমধ্যেই অবগত রয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী সার্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের পূর্বাভাসে পৃথিবী জর্জরিত। কিছু বিশেষজ্ঞ এটির ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে আগামী মাসগুলো থেকেই এটির সূত্রপাত হয়ে যাবে, অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা কিছুটা সময় প্রলম্বিত করে জানাচ্ছেন যে, এটি আসতে অন্ততপক্ষে 2020-র শেষ- অথবা 2021-এর প্রারম্ভিক কাল।কিন্তু দুধরণের মতামত দেওয়া বিশেষজ্ঞরাই একটি প্রবল সমস্যার আগাম বার্তার চিত্র স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন।তেল, আকরিক, লোহা, তামা প্রভৃতির মূল্যের ব্যাপক পতন এবং তার সঙ্গে কারেন্সি এবং স্টক হু-হু করে নেমে যাওয়া, আর দেউলিয়া হয়ে সর্ব্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাবলির একটি পর্যালোচনা
ইউরো/মার্কিন ডলার। 1.1025-1.106 বিস্তারকে গত দেড় মাসের পিভট পয়েন্ট জোন বলা যায়। এটা ছিল সেখানে যে সপ্তাহের ট্রেডিং সেশনের শেষের মধ্যে পেয়ার ফেরত এসেছিল, যা ইঙ্গিত দেয় বাজারে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
এটা সবাই জানে যে পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রাম্প বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ নীতি দ্বারা। খবর ছিল যে ওয়াশিংটন ও বেইজিং অক্টোবরের প্রথমদিকে সমঝোতা শুরু করতে পারে যা স্টক মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল : S&P500 ইনডেক্স ওপরে উঠেছিল এবং ফের 3000-এর কাছে চলে যায়, আর 10-বছরের ইউএস ট্রেজারি বন্ডের বৃদ্ধির হার হয়েছিল গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে, ডলার শক্তিশালী হয়েছিল, ইউরোর তুলনায় পৌঁছেছিল এর সর্বোচ্চ সীমায় মে 2017-এ। এর ফল হল, ৩ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ইউরো/মার্কিন ডলার জুটি ফের একবার নীচে নামল, পৌঁছল 1.0925-এর স্তরে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। যেমনটি প্রত্যাশিত ছিল, গত 24-26 আগস্টে G7-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যস্থতার বিষয়টি কোনভাবেই বৈদেশিক মুদ্রার বাজারগুলিকে প্রভাবিত করনি। তবে তা অন্যান্য অনেক কারণে প্রভাবিত হয়েছিল যেগুলি, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমনটি আশা করেছিলেন তার বিপরীতে, মার্কিন ডলারকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছিল। আমরা তার কয়েকটির উল্লেখ করব। প্রথমটা হল, USA ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বাক্যালাপ, যা বাণিজ্যিক চুক্তির ব্যাপারে আশার আলো দেখায়। আর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত খরচেও বৃদ্ধি হয়েছিল (পূর্বানুমান করা 4.3%-এর বদলে 4.7%), সেই সঙ্গে US ট্রেজারি বন্ডেও আয় ও স্টক সূচকগুলিও বেডে়ছিল। আমরা যদি এর সঙ্গে জার্মানির মুদ্রাস্থীতিতে মন্থরতা এবং ইউরোজোন ইকোনমি (QE)-কে ঠেকনা দেবার জন্য সম্ভাব্য ব্যবস্থাগুলি প্রসঙ্গে ECB-র ভাবী প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্ডের বিবৃতিকে যোগ করি, তাহলে আমরা ইউরোপর সাপেক্ষে ডলারের 200 পয়েন্ট বৃদ্ধির কারণ বুঝতে পারব।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। জ্যাকসন হোল অ্যানুয়াল ইকোনমিক সিম্পোজিয়াম-এর মূল উদ্দ্যেশ্য হল US-এর আর্থিক নীতি কোন দিকে যাবে সে ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের একটা ধারণা দেওয়া। এই জন্যই এই অনুষ্ঠানে ফেডেরাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে সবাই তায়িকেছিল।
অন্য দিকে, সেই দিনগুলিতে যখন অ্যালান গ্রিনস্প্যান ফেডেরাল রিজার্ভের প্রধান ছিলেন, আরেকটি পরম্পরা উঠে আসে: প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় যত পারো ধোঁয়াশা তৈরি করো, যাতে কেউই তা থেকে কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হতে পারে।
প্রথমে, গত সপ্তাহের ঘটনাগুলোর একটা পর্যালোচনা:
EUR/USD। যেমনটি বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই প্রত্যাশা করেছিলেন, যাকে ভৌগোলিক বিশ্লেষণও সমর্থন করছিল, ডলার গত সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী হয়, যেখানে ইউরোর সাথে সাথে EUR/USD জুটিরও পতন হয়। এটা সত্যিই যে, এই জুটির জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য, 1লা আগস্টের নিম্ন স্তর, 1.1025-এ পৌঁছায়নি, স্থানীয় সর্বনিম্ন স্তর 1.1065-কে পেয়ে গিয়ে।
ইউরোপীয় মুদ্রার পতনের প্রথম কারণ হল, ব্যাংক অব ফিনল্যান্ডের জেনারেল ডিরেক্টর তথা ECB-র প্রাক্তন পদপ্রার্থী ওলি রেন-এর “ফাঁকা” প্রতিশ্রুতি। এই বিশিষ্ট ইউরোপীয় আধিকারিকের বিবৃতি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বাজারে মূল দরগুলির মধ্যে 0.1 (এবং সম্ভবত 0.2) শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস প্রত্যাশা করা যাচ্ছে (এখন যেটা -0.04%), সেই সঙ্গে QE-র পরিমাণগত সুরাহার কর্মসূচির পুনরারম্ভ মাসিক আনুমানিক 50 বিলিয়ন পরিমাণ হতে পারে।