মে 13, 2023

ইউরো/মার্কিন ডলার: কেন ডলার উঠেছিল

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ও ক্রিপ্টোকারেন্সি পূর্বাভাস 15 - 19 মে, 2023-র জন্য1

  • আমরা পূর্ববর্তী মূল্যায়নের নাম দিয়েছিল ‘বাজার রয়েছে পথের বাঁকে।’ এখন আমরা বলতে পারি যে বাজার অবশেষে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আর গত সপ্তাহে ডলারকে বেছে নিয়েছিল। সোমবার, 8 মে, 1.1018 থেকে শুরু করে ইউরো/মার্কিন ডলার শুক্রবার, 12, পৌঁছেছিল একটি স্থানীয় নিম্ন 1.0848-এ। লক্ষণীয় বিষয়, এই বৃদ্ধি ঘটেছিল মার্কিন অর্থনীতি কুলিং সত্ত্বেও। এমনকি মার্কিন ঋণ ব্যর্থতার আশঙ্কা অথবা ফেডারেল ফান্ড হারে হ্রাসের আশঙ্কাও ডলারের সবলীকরণকে থামাতে পারেনি।

    মার্কিন অর্থনীতির মন্থরতা আরও প্রকাশিত হয়েছিল জানুয়ারি 2021-এর পর উপভোক্তা মূল্যের (পিপিআই) পতন দ্বারা, পৌঁছেছিল 2.3%-এ, আর বেকার ভাতার দাবির সংখ্যা সর্বোচ্চ স্তরে ছিল অক্টোবর, 2021-এর পর, পৌঁছেছে 264 হাজারে (পূর্বাভাস 245 হাজার আর পূর্ববর্তী মূল্য 242 হাজারের তুলনায়)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি, পরিমাপিত হয় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) দ্বারা, বার্ষিক হারে হ্রাস হয়েছে মার্চের 5.0% এপ্রিলে 4.9%-এ (পূর্বাভাস ছিল 5.0%), আর মাসিক মূল মুদ্রাস্ফীতি ছিল অপরিবর্তিত, 0.4%।

    এমন মনে হয়েছিল যে এই পরিস্থিতি শেষপর্যন্ত ফেডারেল রিজার্ভকে (ফেড) তাড়া দেবে এর আর্থিক নীতি সহজ করা শুরু করতে। যাইহোক, কর্তাদের দ্বারা সাম্প্রতিক মন্তব্যের ওপর ভরে রেগুলেটর সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। যেমন, মিনিয়াপোলিসের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারী বলেছেন যে যদিও মুদ্রাস্ফীতি সামান্য নরম হয়েছে, এটা এখনও তাৎপর্যপূর্ণভাবে লক্ষ্যমাত্রা 2.0%-র ওপরে রয়েছে। কাশকারী মেনে নেন যে একটি ব্যাংকিং সংকট আর্থিক মন্থরতা কারণ হতে পারে। যদিও, তাঁর বিশ্বাস যে শ্রমবাজার যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।

    মিনিয়াপোলিস প্রধানের পর ফেডারেল রিজার্ভ প্রতিনিধি মাইকেল বোম্যানও নিশ্চিত করেছেন যে আরও ডোভিশ অবস্থানের দিকে পরিবর্তন করতে এই রেগুলেটরের অনিচ্ছা রয়েছে। বোম্যানের মতে, ‘মুদ্রাস্ফীতি এখনও যথেষ্ট উঁচু’ এবং ‘কিছুদিনের জন্য সুদের হার যথেষ্ট কঠোর থাকা দরকার’। উপরন্তু, বোম্যান যোগ করেছেন যে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে বর্তমান নীতি ‘মুদ্রাস্ফীতিকে পর্যাপ্তভাবে সীমাবদ্ধ করে আনবে’, এবং যদি মুদ্রাস্ফীতি উঁচুতে থাকে ও শ্রমবাজার আঁটোসাঁটো হয়, তাহলে অতিরিক্ত হার বৃদ্ধি হবে উপযুক্ত।

    একই উপসংহারে পৌঁছেছেন বহু বিশ্লেষক। উদাহরণস্বরূপ, কমার্জব্যাংকের বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘মুদ্রাস্ফীতিতে মন্থর পতন, যা রয়েছে লক্ষ্যমাত্রার বেশ ওপরে, ফেডের এই শরতে মূল হার হ্রাস করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলতে হবে।’

    ডলারের উত্থানের সঙ্গে সুদের হার বজায় রাখার (এবং আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা) সম্ভাবনায় বাজার প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। মার্কিন কারেন্সির সবলীকরণ আরও তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে যদি না ব্যাংকিং সংকট ও মার্কিন ঋণ সিলিঙের সমস্যা না থাকে।

    ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি)-এর হকিশ অবস্থান ইউরোকে সাহায্য করতে পারে আবার উলটোদিকে ইউরোমার্কিন ডলারকে ওপরে রাখতে পারে। যদিও, ইউরোপিয়ান রেগুলেটরের মে মাসের বৈঠকের পর, এটা দেখা গেছে যে আর্থিক বিধির কঠোরতা প্রায় কাছাকাছি এসে গেছে। এটা খুব সম্ভব যে জুনেই শেষ হার বৃদ্ধি হবে। ‘এই মুহূর্তে, ইসিবি একমাত্র ডোভিশ স্বরে বিস্মিত করতে পারে [...] ইউরো বুলের এর জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত,’ সতর্ক করেছে কমার্জব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা।

    গত সপ্তাহে ইউরো/মার্কিন ডলারের শেষ সুর বেজেছিল 1.0849-এ। স্বল্পমেয়াদি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে, এই মূল্যায়ন লেখার সময়, 12 মে সন্ধ্যায়, অধিকাংশ বিশ্লেষক (65%) বিশ্বাস করে যে ডলার হয়ে উঠেছে অনেকটাই অতিরিক্ত ক্রীত, এবং এখনও সময় হয়েছে এই জোড়ার ওপরের দিকে সংশোধনের। মাত্র 15% আশা করে ডলারের আরও শক্তিশালীকরণ, আর বাকি 20% রয়েছে নিরপেক্ষ অবস্থানে। টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের ক্ষেত্রে, দৈনিক চার্টের (D1) অসিলেটরদের মধ্যে 90%-এর রং লাল (যদিও এর এক-তৃতীয়াংশ ইঙ্গিত দিচ্ছে জোড়াটির অতিরিক্ত বিক্রীত অবস্থা), মাত্র 10% রয়েছে সবুজে। ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরদের মধ্যে, সবুজের সংখ্যা 35%, আর লাল ধরে রেখেছে 65%। এই জোড়ার নিকটতম সাপোর্ট রয়েছে 1.0800-1.0835-এর আশপাশে, এরপর 1.0740-1.0760, 1.0675-1.0710, 1.0620 ও 1.0490-1.0530। বুল প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে 1.0865-এর আশপাশে, এর পর 1.0895–1.0925, 1.0985, 1.1090-1.1110, 1.1230, 1.1280 ও 1.1355-1.1390।

    আগামী সপ্তাহ পরিপূর্ণ থাকবে বেশকিছু আর্থিক ঘটনায়। মঙ্গলবার, 16 মে, আমরা দেখব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরো বিক্রি ও জার্মানির জেডইডব্লিউ ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট ইন্ডিকেটর ডেটা। এইসঙ্গে, ইউরোজোনের প্রথম ত্রৈমাসিকের প্রাথমিক জিডিপি ডেটা প্রকাশ পাবে ওই একই দিনে। বুধবার, 17 মে, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি উপাত্ত (সিপিআই) প্রকাশ পাবে। বৃহস্পতিবার, 18 মে, আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একগুচ্ছ পরিসংখ্যান, এর মধ্যে রয়েছে বেকারির তথ্য, নির্মাণ ক্রিয়াকলাপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজার। উপরন্তু, ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ আশা করা হচ্ছে 16 মে ও 19 মে। সপ্তাহ শেষ হবে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভাষণ দিয়ে, যা হবে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে।

জিবিপি/মার্কিন ডলার : ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও জিডিপি বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে

  • বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বুল সক্ষম হয়েছিল জিবিপি/মার্কিন ডলারকে ওপরে ঠেলতে। যদিও পূর্বাভাস সুপারিশ করেছিল যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর 11 মে বৈঠকে সুদের 25 বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করবে, বিনিয়োগকারীরা একটা জাদুর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল : যদি 25 না হলে 50 হয় তাহলে কী হবে? যদিও, ওই জাদু বাস্তবে ঘটেনি, এবং 1.2679 উচ্চতায় পৌঁছনোর পর এই জোড়া উলটোদিকে গিয়েছিল এবং পড়তে শুরু করেছিল।

    পতন পরের দিনও ধারাবাহিক ছিল। ডলারের সবলীকরণ একটি ভূমিকা পালন করেছে, এবং যুক্তরাজ্যের মিশ্রিত প্রাথমিক জিডিপি ডেটা নেতিবাচক মেজাজ যোগ করেছিল। দেশের অর্থনীতি 2023 প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছিল 0.1%, যা পূর্বাভাস ও 2022 চতুর্থ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির সঙ্গে পূর্ণ মানানসই ছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে, জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছিল 0.2%, যা, পূর্বাভাসের সঙ্গে সংগতি রেখে, পূর্ববর্তী মূল্যের বেশ খানিকটা নীচে ছিল, 0.6%। যদিও, মাসিক ভিত্তিতে, জিডিপি অপ্রত্যাশিত সংকোচন দেখিয়েছিল, মার্চে -0.3%, পূর্বাভাস ছিল 0.1% বৃদ্ধি এবং পূর্ববর্তী মূল্য 0.0%-এর। যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার জেরেমি হান্টের ‘এটা ভালো খবর যে অর্থনীতি বৃদ্ধি হচ্ছে’ এরকম উৎসাহজনক বিবৃতি সত্ত্বেও এটা পাউন্ডকে সাহায্য করেনি। এটা প্রমাণিত হয়েছিল যে বৃদ্ধি হয়েছে একমাত্র জানুয়ারিতে, ফেব্রুয়ারিতে স্থিতিছিল আর মার্চে সংকুচিত হয়েছে।

    কমার্জব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা উল্লেখ করেছে যে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গড়িমসি পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক উপাদান। ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য ভবিষ্যৎ উপাত্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ,’ বলেছে কমার্জব্যাংক। ‘যদি দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে, যেমন ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশা করে, তাহলেই আরও হার বৃদ্ধি থেকে ওরা বিরত থাকবে, যা স্টার্লিঙের ওপর চাপ ফেলবে।’

    ইন্টারন্যাশনালে নেদারল্যান্ডেন গ্রোয়েব (আইএনজি)-এর স্ট্র্যাটেজিস্টরাও বিশ্বাস করে যে 11 মে-র হার বৃদ্ধিই শেষ। যদিও, তারা এইসঙ্গে যোগ করেছে যে ‘ব্যাংক অব ইংল্যান্ড নমনীয়তা বজায় রেখেছে এবং আরও হার বৃদ্ধির দরজা খোলা রেখেছে যদি প্রমাণ হয় মুদ্রাস্ফীতি থাকবে।’

    11 ও 12 মে-র ধাক্কার ফলে জিবিপি/মার্কিন ডলার 1.2500-র শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেলের ওপরে থাকতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সপ্তাহ শেষ করেছিল 1.2447-এ যদিও, 70% বিশেষজ্ঞের মতে, বুল চেষ্টা করবে এই সাপোর্ট লেভেল ফের অর্জন করার। 15% বিশ্বাস করে যে 1.2500 এখন রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠবে, জোড়াকে ঠেলবে আরও নিম্নাভিমুখে। বাকি 15% পূর্বাভাস করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় মনে করেছে। ডেইলি চার্টের (D1) অসিলেটরদের মধ্যে 60% বিক্রির প্রস্তাব করেছে (যেখানে15% ইঙ্গিত করেছে অতিরিক্ত বিক্রীত অবস্থা), 20% ঝুঁকে রয়েছে ক্রয়ের দিকে আর 20% হল নিরপেক্ষ। ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরদের ভেতরে, লাল ও সবুজের ভারসাম্য 50%-এ সমানভাবে বিভক্ত।

    এই জোড়ার জন্য সাপোর্ট লেভেল ও অঞ্চল হল 1.2390-1.2420, 1.2330, 1.2275, 1.2200, 1.2145, 1.2075-1.2085, 1.2000-1.2025, 1.1960, 1.1900-1.1920 ও 1.1800-1.1840। ওপরের দিকে চলাচলের ক্ষেত্রে, জোড়াটি যে স্তরে বাধার সম্মুখীন হবে তা হল 1.2500, 1.2540, 1.2570, 1.2610-1.2635, 1.2675-1.2700, 1.2820 ও 1.2940।

    আগামী সপ্তাহের ক্যালেন্ডারে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রিপোর্টের শুনানি হবে সোমবার, 15 মে। যুক্তরাজ্য শ্রম বাজারের উপাত্ত প্রকাশ পাবে মঙ্গলবার, 16 মে। আর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণের সূচি হল বুধবার, 17 মে।

মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই: আর্থিক ঝড় থেকে আশ্রয় হল ইয়েন

  • এপ্রিলে ডিএক্সওয়াই ঝুড়িতে সবচেয়ে খারাপ প্রদর্শনকারী ছিল ইয়েন। মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই 137.77 উচ্চতায় উঠেছিল ব্যাংক অব জাপানের নতুন গভর্নর কাডসুও উয়েডার আলট্রা-ডোভিশ বিবৃতির ওপর। যদিও, তারপর, ইয়েন, নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে যার খ্যাতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং সংকট দ্বারা সাহায্য পেয়েছিল, যার কারণে এই জোড়া উলটোদিকে নিম্নাভিমুখে চলে গিয়েছিল।

    জাপানি ব্যাংকের ক্ষেত্রে, উয়েডা মঙ্গলবার, 9 মে বলেছিলেন যে ‘আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান ব্যাংকের সাম্প্রতিক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রভাব জাপানের অর্থ ব্যবস্থার ওপর খুব সামান্যই পড়বে,’ এবং ‘জাপানের আর্থিক সংস্থাগুলির পর্যাপ্ত ক্যাপিটাল রিজার্ভ আছে’। দেশের আর্থিক ব্যবস্থার স্থায়িত্ব সম্পর্কে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি যা জাপানের অর্থমনত্রী শুনিচি সুজুকির কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল।

    বৃহত্তম ব্রিটিশ ব্যাংক এইচএসবিসি-তে কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্টরা, এই বিশ্বাস বজায় রেখেছে যে জাপানি ইয়েন আরও শক্তিশালী হবে, এর ‘নিরাপদ স্বর্গ’ মর্যাদা একে সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ সমস্যা ও ব্যাংকিং সংকটের মাঝে। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইয়েনও শক্তিশালী হবে কারণ ব্যাংক অব জাপানের চলতি মূল্যায়ান এর ইয়েল্ড কার্ভ কন্ট্রোল (ওয়াইসিসি) নীতিতে পরিবর্তন বাতিল করেনি, এমনকি এটা ঘটতে পূর্বের প্রত্যাশার চেয়ে একটু বিলম্ব হতে পারে। ব্যাংক অব জাপানের কার্যক্রমে মোড় হয়তো জাপানের মূল মুদ্রাস্ফীতি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে যা মার্চে থিতু হয়ে ছিল, এবং শক্তিমূল্য বাদ দিয়ে, এটা ত্বরান্বিত হয়েছিল 41-বর্ষীয় উচ্চে, 3.8%। যাইহোক, যখন এই একই ইন্ডিকেটর দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই স্তর তুলনা করা হয়, এটাকে তাৎপর্যপূর্ণ সমস্যা রূপে বিবেচনা করা কঠিন।

    এদিকে, একটি ফরাসি ব্যাংক সোসিয়েটে জেনারেলে বিশ্বাস করে যে ইয়েল্ড ডায়নামিক্স, ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অর্থনৈতিক প্রবণতা বিবেচনা করে, মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই হয়তো ‘কিছুদিন সংকীর্ণ রেঞ্জে আটকে থাকবে।’ যদিও, এইসঙ্গে তারা উল্লেখ করেছে যে ডলার অতিরিক্ত মূল্যায়িতের ধারণা ও ব্যাংক অব জাপানের ক্রিয়াকলাপের অনুমান খুব সহজে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিশ্বাস হল যে ইয়েনের পুনরুদ্ধার শুধু ব্যাংক অব জাপানের ক্রিয়াকলাপের জন্য অপেক্ষা করছে।

    ব্যাংক অব জাপানের পরবর্তী বৈঠকের সূচি 16 জুন। একমাত্র তখনই এটা পরিষ্কার হবে জাপানি সেন্ট্রাল ব্যাংকের আর্থিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন হবে কি না। ততদিন পর্যন্ত, মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই বিনিময় হার সম্ভবত নির্ভর করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনাবলির ওপর।

    এই জোড়া গত সপ্তাহ শেষ করেছিল 130.72-এ। এর পরবর্তী সম্ভাবনার ক্ষেত্রে, বিশ্লেষকদের মতামত এরকমভাবে বিভক্ত হয়েছে : বর্তমানে 75% বিশ্লেষক ভোট দিয়েছে জাপানি কারেন্সি শক্তিশালী হওয়ার দিকে। 15% বিশেষজ্ঞ আশা করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়, আর একই সংখ্যক হয়েছে নিরপেক্ষ। ডেইলি চার্টের (D1) অসিলেটরদের ভেতরে, ভারসাম্য রয়েছে ডলারের দিকে, 65% ইঙ্গিত করেছে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, 20% রয়েছে নিরপেক্ষ আর বাকি 15% দেখিয়েছে নিম্নাভিমুখী প্রবণতা। ট্রেন্ড ইন্ডিকেটরদের মধ্যে, শক্তির ভারসাম্য 90% রয়েছে সবুজ অঞ্চলের পক্ষে। পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল রয়েছে 134.85-135.15 রেঞ্জে, এর পরের স্তর ও অঞ্চল হল 134.40, 133.60, 132.80-133.00, 132.00, 131.25, 130.50-130.60, 129.65, 128.00-128.15 ও 127.20। বাধা স্তর ও অঞ্চল হল 135.95-136.25, 137.50-137.75, 139.05 ও 140.60।

    আর্থিক উপাত্ত প্রকাশের ক্ষেত্রে, জাপানের 2023 প্রথম ত্রৈমাসিকের প্রাথমিক জিডিপি ডেটা ঘোষণা করা হবে বুধবার, 17 মে। যদিও, আগামী সপ্তাহে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ আর্থিক তথ্য প্রকাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি: বিটকয়েন একটি ব্যাংকিং সংকটের আশা করে

  • টানা আট সপ্তাহ ধরে বিটকয়েন রয়েছে বিক্রি চাপের অধীনে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা করেছে 26,500 ডলারের শক্তিশালী সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স অঞ্চল ধরে রাখতে। গত সপ্তাহ আরও একবার বিনিয়োগকারীদের জন্য আনন্দ আনতে পারেনি। যেমন হোয়েলওয়্যারে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটকয়েন ইকোসিস্টেমে লেনদেন ফি পৌঁছেছিল ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চে (যা দেখা গিয়েছিল 2017 ও 2021-এ)। গড় নেটওয়ার্ক গতি প্রতি সেকেন্ডে 7 লেনদেন অতিক্রম করেনি। এর ফলে, যারা ট্রানজাকশন ফি বাড়বে ট্রান্সফার করতে চেয়েছে এর প্রণয়ন বৃদ্ধি হয়েছিল। এর কারণে 8 মে গড় ফি উঠেছিল প্রতি লেনদেনে 31 ডলার। এটা ইউজারদের হতাশ করলেও মাইনারদের উৎসাহিত করেছিল, কেননা 2017-এর পর এই প্রথম ব্লক রিওয়ার্ড করেছিল ফি।

    বিনান্স সহ কিছু অপারেটর এর জন্য অপ্রস্তুত ছিল এবং সময়মতো ইউজারদের জন্য ফি ঠিকঠাক করতে পারেনি। কয়েক লক্ষ লেনদেন আটকে গিয়েছিল মেমপুল-এ। তাদের ‘ক্লিয়ারিং’-এ গতি আনতে বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ দুবার প্রত্যাহার সাসপেন্ড করেছিল এবং ট্রান্সফার ফি বৃদ্ধি করেছিল। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ বিনান্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পর। ব্লুমবার্গ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা বজায় আছে এই এক্সচেঞ্জ সেটা ভঙ্গ করেছে।

    আতঙ্কের মেজাজ আরও উচ্চ হয়েছিল এই খবরে যে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বিটরেক্স দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছে ওই একই দিনে, 8 মে (যদিও আশা করা হচ্ছে এই প্রণালি একমাত্র এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাবসিডিয়ারির ক্ষতি করতেপারে)। বিনান্স ও বিটরেক্স যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল সেটা বিনিয়োগকারীদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এফটিএক্স বিপর্যয়ের কথা। এসবই ভীতি, অনিশ্চয়তা ও সন্দেহ সঞ্চার করেছিল ক্রিপ্টো মার্কেটের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে, যা সক্রিয় অ্যাড্রেসির সংখ্যাকে কমিয়ে এনেছিল বার্ষিক নিম্নে। এই প্রেক্ষাপটে বিটকয়েন তীক্ষ্ণ পতনের সাক্ষী হয়েছিল।

    ডেইলি চার্টে বিটিসি গঠন করছে একটি ‘মাথা ও ঘাড়’ বিন্যাস। এক ট্রেডার তথা বিশ্লেষক, যিনি অল্টকয়েন শেরপা নামে পরিচিত, বলেছেন যে অগ্রগণ্য ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম অতি শীঘ্র 25,000 ডলারে নামবে। তাঁর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এই মূল্য স্তর মিলে যাবে 200-দিবস ইএমএ, 0.382 ফিবোনাক্কি স্তরের সঙ্গে, এবং সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স রূপে আগেই পরখ হবে। একটি গভীরতর সংশোধনের সম্ভাবনা, 24,000 ডলার স্তরে, উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। যদিও, কয়েনগেপ-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে কেন্দ্রায়িত প্ল্যাটফর্মে বিটকয়েনের জোগান রয়েছে 2017-এর পর নিম্নতম স্তরে। তাদের বিশ্বাস এটা ইঙ্গিত দেয় যে আসন্ন সংশোধনের একটি স্থানীয় চরিত্র থাকবে।

    গত সপ্তাহে মার্কিন ডলার শক্তিশালীকরণও বিটকয়েনের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করেছে। যদিও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং সংকট ডিজিটাল মার্কেটকে ধারাবাহিকভাবে সাহায্য করবে সেই আশা এখনও ক্ষীণ। বহু ক্রিপ্টোকারেন্সি উৎসাহীর ক্ষেত্রে, বিটকয়েনকে বিবেচনা করা হয়েছিল নিরাপদ স্বর্গ রূপে এবং ফিজিক্যাল গোল্ড, ফান্ডের ক্ষতির রক্ষাকারী রূপে।

    ফেডারেল রিজার্ভ দ্বারা আর্থিক নীতি দৃঢ়করণ ব্যাংকের ব্যালান্স শিটে কিছু সম্পদের মূল্য হ্রাস করেছে এবং ব্যাংকিং পরিষেবার চাহিদা হ্রাস করেছে। সুতরাং, ঐতিহ্যশালী আর্থিক ক্ষেত্রে নতুন চ্যুতির সম্ভাবনা খুবই উচ্চ। চারটি মার্কিন ব্যাংক (ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংক, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, সিগনেচার ব্যাংক ও সিলভারগেট ব্যাংক) দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করেছে, এবং আরও এক ডজন একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। গালুপ পোলিং এজেন্সির সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক নাগরিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের জমা অর্থের নিরাপত্তা সম্পর্কে চিন্তিত।

    বেস্টসেলার রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড বইয়ের লেখক রবার্ট কিয়োসাকি প্রায়ই ব্যাখ্যা করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক অর্থনীতির সামনে চ্যালেঞ্জিং সময় আসছে। এবার, তিনি তাঁর 2.4 মিলিয়ন টুইটার ফলোয়ারকে উদ্দেশ করে বলেছেন যে এক-মাসের মার্কিন ট্রেজারি বিলের ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে একটি মন্দা সম্ভবত আসছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এটা কি ইঙ্গিত করে না যে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন সোনা, রুপো ও বিটকয়েনের ওপর গুরুত্ব দিতে। এটা বলা বাহুল্য যে কিয়োসাকি এর আগে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বিটকয়েনের মূল্য অতি শীঘ্র 100,000 ডলারে উঠবে।

    বিশ্লেষক, ট্রেডার ও কনসাল্টিং প্ল্যাটফর্ম এইটগ্লোবাল-এর প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ভান ডি পোপে ব্যাংকিং ক্ষেত্র ও ক্রিপ্টো মার্কেটের মাঝে সম্পর্কের একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছেন। আমেরিকান ব্যাংকের স্টক মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ প্রধান জেরোম পাওয়েলের দ্বারা পতনের চেষ্টায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল আর্থিক বাজার শান্ত করতে। 3 মে সরকারি বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, প্যাকওয়েস্ট ব্যানকর্পের শেয়ার পড়েছিল প্রায় 58%, আর ওয়েস্টার্ন অ্যালায়েন্সের 28%-এর বেশি। পাশাপাশি অন্যান্য ক্রেডিট সংস্থা যেমন কোমেরিকা (-10.06%), জিওন ব্যানকর্প (-9.71%) ও কেকর্প (-6.93%)-ও একই পতনের সাক্ষী হয়েছিল।

    একটি 30-মিনিট চার্ট ব্যবহার করে ভান ডে পোপে উপস্থাপন করেছিলেন যে যখন ব্যাংকের মূল্যে পতন ঘটে, বিটকয়েন ও সোনা ওপরে ওঠে। এইটগ্লোবাল প্রতিষ্ঠাতার মতে, সরকারি কর্তাদের বিবৃতির প্রতি ব্যাংকারদের অনিশ্চয়তা ও অনাস্থা বাড়ছে। আর এই মেজাজ ঐতিহ্যশালী বাজারে আরও সমস্যা নিয়ে আসতে পারে এবং এটা ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল গোল্ডের বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় অবদান জোগাতে পারে।

    বিলিওনিয়ার বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বুফে ফ্ল্যাগশিপ ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করেন। বার্ষিক বার্কশায়ার হাথঅ্যাওয়ে শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকে বুফে বলেছেন যে ডলারের প্রতি মানুষ হয়তো আস্থা হারিয়েছে, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিটকয়েন হয়ে উঠবে বিশ্বের রিজার্ভ কারেন্সি। এর প্রত্যুত্তরে সিক্স সিগমা ব্ল্যাক বেল্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা জেমস রিয়ান ইঙ্গিত করেছেন যে বুফের সোনায় বিশ্বাস নেই, কেননা তিনি বিশ্বাস করেন মূল্যবান ধাতু কখনো কিছু উৎপাদন করে না এবং অর্থ প্রবাহ উৎপন্ন করে না।

    যাইহোক, ওয়ারেন বুফে হয়তো সোনার ক্ষেত্রে সঠিক হতে পারেন। ডকুমেন্টিংবিটিসি-র এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, একজন বিনিয়োগকারী যিনি দশ বছর আগে ফিজিক্যাল গোল্ডে ঠিক 100 ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন, এখন তাঁর অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র 134 ডলার। কিন্তু তিনি যদি ডিজিট্যাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতেন, তাহলে এটা গিয়ে দাঁড়াত 25,600 ডলার! ঠিক এজন্যই এই দশকের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ হিসেবে বিটকয়েন বিবেচিত হয়েছে।

    দ্বিতীয় হল NVIDIA স্টক, যা বেড়েছে 8599 ডলারে। সম্মানজনক তৃতীয় স্থান গেছে টেসলায়, যাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি হয়েছে 100 ডলার থেকে 4475 ডলার। অ্যাপল ইনভেস্টরে লাভ হত 1208 ডলার। মাইক্রোসফট - 1111 ডলার, নেটফ্লিক্স - 1040 ডলার, আমাজন - 830 ডলার, ফেসবুক - 818 ডলার আর গুগল স্টকে বিনিয়োগ বর্তমানে ফল দিত 504 ডলার।

    বিটকয়েন উৎসাহীদের আশার ফের যাচাই করলে বলা যায়, টেকনিক্যালি বিটকয়েনকে উঠতে হবে 28900 ডলার ছাপিয়ে, স্বাদ নিতে হবে 30400 ডলারের, আর দৃঢ়ভাবে থাকতে হবে 31000 ডলার স্তরের ওপরে। যদিও, এই মূল্যায়ন লেখার সময়, শুক্রবার সন্ধ্যা, 12 মে, বিটিসি/মার্কিন ডলার ট্রেডিং হচ্ছে 26415 ডলারে। ক্রিপ্টো মার্কেটের মোট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়িয়েছে 1.108 ট্রিলিয়ন ডলার (এক সপ্তাহ আগে ছিল 1.219 ট্রিলিয়ন ডলার)। ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইনডেক্স গত সাত দিনে নেমেছে 61 থেকে 49 পয়েন্টে, গ্রিড জোন থেকে গেছে নিউট্রাল জোনে।

 

নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ

 

বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় এবং এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যের জন্যআর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।


« বাজার বিশ্লেষণ ও সংবাদ
প্রশিক্ষণ
গ্রহণ করুন
মার্কেটে নতুন? ব্যবহার করুন “শুরু করা যাক” বিভাগটি।
প্রশিক্ষণ শুরু করুন
আমাদের অনুসরণ করুন (সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে)